ফ্রীল্যানসিং কি ও কিভাবে ফ্রীল্যানসিং শুরু করা যায়
পৃথিবীতে যত কোম্পানি আছে, তার ৫৪%ই তাদের সাপোর্ট রিলেটেড কাজগুলো আউটসোর্স করে। গত বছর শুধুমাত্র আমেরিকার কোম্পানিগুলোই ৩ লক্ষ আউটসোর্সিং রিলেটেড জব পোস্ট করেছে এবং ফ্রিল্যান্সার দিয়ে কাজ করিয়ে নিয়েছে। গত দুই বছর আগের ডাটা অনুযায়ী আউটসোর্সিং এর বাজার এখন ৮৫ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার।
সুতরাং এই ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে যেকারো আগ্রহ থাকাই স্বাভাবিক।
চলুন শুরু করা যাক –
ফ্রীল্যানসিং হচ্ছে এমন একটি পেশা যেখানে আপনি কোনো কাজের জন্য বা কোনো প্রজেক্টের জন্য ঘন্টা প্রতি বা ডেইলি বেসিস বা প্রজেক্ট হিসেবে মাসিকও পেমেন্ট পেয়ে থাকবেন।
ফ্রীলান্সাররা কোম্পানির সাথে ডাইরেক্ট এমপ্লয়ি হিসেবে চাকরি করে না। তারা বেশির ভাগ সময় সাব-কন্ট্রাক্ট এ কাজ করে থাকে। মূল কথা হচ্ছে, একজন ফ্রীলান্সার নির্দিষ্ট কাজের জন্য চুক্তিতে আবদ্ধ হয়ে কাজ করে থাকে।
আসলে আমরা ফ্রীল্যানসিংকে যতটা সহজ করে দেখি ততটা সহজ না। যারা প্রফেশনালি এই কাজ করতে চায়, তাদের অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে নিজের দক্ষতা বাড়ানো ও সাথে কাজকে ভালোবাসা। এখন চলুন জেনে নেই কাদের জন্য ফ্রীল্যানসিং পেশা :
-যারা কাজ শেখার ধৈর্য রাখে
-যাদের শেখার প্রবণতা আছে
-যারা নিজেদের স্কিল ডেভেলপ করে
-পরিবর্তনের সাথে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে সক্ষম
-যারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করার মত কমিউনিকেশন জানে
-যারা পরিশ্রম করতে পারবেন
ফ্রিল্যান্সিংকে পেশা হিসেবে নেয়া একটু কঠিন হবে যাদের জন্যে
অনেক মনে করেন ফ্রীল্যানসিং করা খুব সহজ। আসলে আপনি যদি সঠিক কাজটি না জানেন বা ক্লাইন্ট যেভাবে কাজ করতে চায় বা আপনি সমস্যা সমাধান দিতে না পারেন তাহলে এই সেক্টর আপনার জন্য না। নিচে জেনে নেই করা না আসলে ভালো;
-যারা কাজের চেয়ে টাকাকে মূল্যায়ন করেন।
-যারা সহজে আয়ের পথ খুঁজছেন।
-যারা মনে করছেন শেখা শুরুর ১ মাসের মধ্যেই কারিকারি টাকা আয় করবেন।
-যারা ফ্রিল্যান্সিং ট্রেইনিং সেন্টারের চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে এই পেশার জন্য আগ্রহী হয়েছন।
-যারা ফ্রিল্যান্সিং কে খুব সহজ ভাবেন।
-যারা চাকরির বা অন্য পেশার পাশাপাশি সাইড ইনকাম হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং কে ভাবছেন।
কিভাবে ফ্রীল্যানসিং শুরু করা যায়?
আগে জেনে নিন আপনি কোন ফিল্ড এ কাজ করতে পারবেন তার জন্য আপনি মার্কেটপ্লেসে যেয়ে কাজের ফিল্ড গুলা দেখে নিন ও বুঝার চেষ্টা করুন কোন ফিল্ডের সাথে আপনার স্কিল খাপ খায়। চলুন নিচের বিস্তারিত আলোচনা থেকে জেনে নেয়া যাক;
১) যেটা আপনি ভালো জানেন ঠিক ঐটা দিয়েই শুরু করেন :
মার্কেটপ্লেসে যেয়ে কাজের ফিল্ড গুলা দেখে নিন তারপর যেসকল জব পোস্ট করা আছে ঐগুলা ঘেটে দেখুন। আপনার ইন্টারেস্ট, শিক্ষাগতযোগ্যতা, দক্ষতা অনুযায়ী কোন ফিল্ডে কাজ করতে পারবেন তা দেখে নিন।
২) দক্ষতা বৃদ্ধি করুন:
সব মিলিয়ে যদি আপনার কাজের দক্ষতা কম থাকে তবে অবশ্যই আপনার স্কিল উন্নয়ন ঘটান। এর জন্য আপনি আপনার কাজের রিলেটেড রিসৌর্স নিয়ে অনলাইন এ পড়াশুনা শুরু করে দেন। পরিচিত কেউ থাকলে পরামশ নিন। কাজ রিলেটেড ফেইসবুক গ্রুপ গুলাতে প্রশ্নের মাধ্যমেও বিভিন্ন কিছু শিখতে পারেন।
3) আপনার নিজের সার্ভিস প্রমোট করুন :
কাজের দক্ষতা তো বাড়ালেন এখন আপনি কিভাবে আপনার সার্ভিস সেল করতে পারেন? কয়েক ভাবেই আপনি অনলাইন ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারেন। তার মধ্যে ক্লাইন্ট এর কাজ করাটা অনেক বেশি পরিচিত।
তাই আজ আমি এখন মার্কেটপ্লেস নিয়ে আলোচনা করবো। এক এক করে সব পপুলার মারকেতপ্লেস কভার করার চেষ্টা করবো।
মার্কেটপ্লেস জব
অনলাইন এর কাজ গুলোর জন্য মার্কেট প্লেস গুলাতে গিগ/ প্রোফাইল তৈরির মাধ্যমে আপনি ক্লাইন্ট সার্ভিস দিতে পারেন। মার্কেট প্লেস এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে FreeeUp, Freelancer, upwork, Fiverr, OnlineJobs.ph, People per hour, Guru. এই সকল প্লাটফর্মে আপনি যেসকল ক্যাটাগরির কাজ পাবেন তা হচ্ছে;
Web, Mobile & Software Dev
IT & Networking
Data Science & Analytics
Engineering & Architecture
Design & Creative
Writing
Translation
Legal
Admin Support
Customer Service
Sales & Marketing
Accounting & Consulting
তাই কাজ পাবার বা করার আগে আপনাকে প্রোফাইল তৈরী করে নিতে হবে,
thanks For visit my site

No comments